আমার চোখে ডিইপিটিসি



দেশ অল্প কিছুদিন যাবত স্বাধীন হয়েছে। চারিদিকে শুধু নেই নেই আর অভাবের তাড়না। অনেক কিছুই নেই। তার মধ্যে দক্ষ কর্মীর অভাবও কম গুরুত্ব পূর্ণ নয়। দেশে যখন এমন অবস্থা চলছিল তখন ১৯৭৩ সালের শেষ দিকের কোন এক সময় আমার মামা একদিন তার সঙ্গে দেখা করার জন্য জরুরী খবর পাঠালেন। মামার ডাক শুনে সেদিনই বিকেল বেলা তার ধানমন্ডির বাসায় হাজির
হলাম। মামা বুক সেলফে তুলে রাখা একটা দৈনিক পত্রিকা বের করে একটা বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে বললেন এখানে এপ্লাই করবি। সাথে একশ টাকার একটা নোট হাতে দিলেন। বললেন যেখানে যা খরচ দরকার হয় করবি। একশ টাকা তখন অনেক টাকা। বিজ্ঞাপনটা পড়ে দেখলাম তদানীন্তন ডেক কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এপ্রেন্টিস চেয়েছে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষে পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা দিয়ে দিয়ে একদিন কোন জাহাজের প্রধান বা কর্ণধার কিংবা ক্যাপ্টেন হতে পারবে আর প্রশিক্ষণ চলাকালে মাসে পনের টাকা করে হাত খরচ পাবে। ভেবে দেখলাম মন্দ কি? ছাত্র হিসেবে একেবারে পিছনের সারির ছাত্র ছিলাম না কখনও। ভেবেছিলাম ইঞ্জিনিয়ার কিংবা কৃষিবিদ হব বাবা কৃষি মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন তাই ওই দিকেও যে মন কিছুটা  দুর্বল ছিলনা তা বলব না। অবশ্য দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াবার শখ ছিল প্রচণ্ড রকমের।  দেশ স্বাধীন হবার পর সব কিছুর দাম হঠাৎ করে কয়েকগুণ বেড়ে গেল। এই অবস্থায় বাবার একার আয়ে সংসার চলছিল না। মাকে অনেক কষ্ট করে চালাতে হতো। মা বাবা ভাই বোন সবাই মিলে সংসারের খরচ একেবারে কম না। সংসারের এই ক্রান্তি কালে আমি যদি একটু কাজে লাগতে পারি তাহলে মন্দ কি? সেই সাথে একটা নিশ্চিত ভবিষ্যতের আশ্বাস!

 মামার বাসা থেকে চা নাস্তা খেয়ে পাইক পাড়ার বাড়িতে চলে এলাম। মা জানতে চাইলেন তোর মামা কেন যেতে বলেছিল? বাবা আর মা দুজনকে এক সাথে কথাটা বললাম। কিন্তু তারা কেউ রাজি নন। মা স্পষ্ট বলে দিলেন এভাবে এই সময়ে পড়ালেখা ছেড়ে কিছু করা বা ভাবা যাবে না। কঠিন বিপদ! রাতে খাবার সময় কথাটা আবার তুললাম এবং মোটামুটি নিমরাজি ধরনের একটা কিছু করালাম। পরদিন শেভ হয়ে গোসল সেরে দুপুরে খেয়ে কাগজপত্র নিয়ে বাবার অফিসে গেলাম সার্টিফিকেটগুলি এটাস্টেট করা আর ছবি তোলার জন্য। স্টেডিয়ামে প্যনোরমা নামের একটা স্টুডিওতে ছবি তুললাম। রাতে বাড়ি ফিরে এসে সব কিছু গুছিয়ে রাখলাম। পরদিন ছবি নিয়ে জিপিও থেকে এপ্লিকেশন পোস্ট করে দিলাম। ঠিকানা দিলাম মামার বাসার ঠিকানা।

কয়েকদিন পরেই ইন্টার্ভিউয়ের ডাক এলো। যথারীতি ইন্টার্ভিউ দিলাম। আজও স্পষ্ট মনে আছে প্রিন্সিপ্যাল আনিস স্যার আরও কয়েকটা প্রশ্নের সাথে ইংরেজিতে জিগ্যেস করেছিলেন সাগরের পানি আর আমাদের খাবার পানির মধ্যে তফাত কি এবং তা কিভাবে বোঝা যায়? সঠিক ও সুন্দর জবাব দিয়েছিলাম। আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এখন আস। বাড়ি চলে এসে মা বাবাকে জানালাম, ভাল ইন্টার্ভিউ দিয়েছি।

ডিসেম্বরের শেষে আবার মামার ডাক। গিয়ে দেখি জাহাজে চাকরি করার ব্যবস্থা আমার পাকাপাকি হবার একটা উপায় হয়েই গেছে। অর্থাৎ ডিপিটিসি থেকে আমার নামে একটা এপয়েন্টমেন্ট লেটার এসেছে এবং মামি সেটা আমার হাতে তুলে দিলেন। নে, আপাকে দেখাবি আর সময়মত জয়েন করবি।

মা সিক্ত কণ্ঠে বিদায় দিলেন, “বিদেশ পুরুষ মানুষের জন্য, পুরুষ হয়ে জন্মেছ কাজেই তোমাকে দেশ বিদেশের নানা জায়গায় যেতে হবে নানা কিছু দেখতে হবে, মনকে সেই ভাবে গড়ে নাও। আমাদের জন্য চিন্তা করবে না, যেখানে যাচ্ছ সেখানে ভাল ভাবে থাকবে। শর্ত অনুযায়ী বাবা গাটঠি বোচকা সহ আমাকে নিয়ে ১৯৭৪ সালের এগারই জানুয়ারি বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চর-কুঠিতে এলেন এবং আহসান স্যারের হাতে আমাকে সোপর্দ করে দিলেন। ফিরে যাবার সময়ে বাবার ভেজা চোখ এখনও আমার চোখে ভেসে আছে। বাবার সেই চোখের কথা কোনদিন ভুলতে পারব না। এমনিতে বাবাকে কোনদিন কাঁদতে দেখিনি কিন্তু সেদিনের সেই বাবা পকেটের রুমাল দিয়ে ভেজা চোখ মুছতে মুছতে উপদেশ দিচ্ছিলেন সাবধানে থাকবে, মন দিয়ে পড়বে আর এখানকার নিয়ম মেনে চলবে। হঠাৎ করেই পিছনে ফিরে বাবা হাটতে শুরু করলেন। গেটের আড়াল হওয়া পর্যন্ত তাকয়ে রইলাম বাবার পথের দিকে।

শীতলক্ষ্যার পাড়ে কড়ই গাছের নিচে এসে দাঁড়ালাম। জীবনে মা বাবা ভাই বোনকে ছাড়া এই প্রথম। ভীষণ কান্না পাচ্ছিল কিন্তু কাঁদতে পারছিলাম না। বারবার মার মুখ মনে আসছিল, মার কথা গুলি মনে আসছিল। এমন সময় আমার মতই আর একজন (২০০৮ সালে সে ইন্তেকাল করেছে) পিছন থেকে ডাকল এইযে ভাই কি ভাবছেন?” পিছনে তাকিয়ে দেখি আমার খুব কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। কি বলব ভাবছি। সে বলল আমি এজাজ রসুল ওরফে হিরন। হাতটা বাড়িয়ে দিল। ভদ্রতার রেশ ধরে আমিও হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললাম আমি খালিদ উমর ওরফে লাভলু। আপনি কি C ব্যাচে ভর্তি হলেন? হ্যাঁ, আপনি? আমিও। ও! তাহলে আমরা ক্লাস মেট তাই না? হ্যাঁ তাইতো। সেই থেকে অন্তরঙ্গতা এবং পরবর্তীতে হৃদ্যতা। এমনকি আমার বিয়ের ঘটক মহাশয়ের জটিল কাজটিও ইনিই করেছিলেন।

প্রথম দিন রাতে সিনিয়র ভাইয়েরা এখানকার নানা নিয়ম শৃঙ্খলা, পাঠ্য বিষয়, ইন্সট্রাকটর, ক্লাস ইত্যাদি নানা কিছু নিয়ে একেকজনে ভাব গম্ভীর বক্তব্য শোনালেন। রাতের খাবার জন্য সাথে করে সবাইকে নিয়ে এলেন। সেদিন ছিল ছোলার ডাল দিয়ে গরুর মাংস আর রুটি। বেশ আনন্দের সাথেই খেয়ে এসে আবার আমরা নতুন এবং পুরাতন বা সিনিয়র ভাইদের সাথে পরিচয়ের পালা শেষ করে শোবার পালা। পরদিন কখন ঘুম থেকে উঠতে হবে উঠে কি করতে হবে সবকিছুই তারা বলে দিয়েছিলেন। আমাদের সিনিয়র ভাইয়েরা সত্যিকারেই আমাদের বড় ভাইয়ের মত আদর, মমতা, শাসন সব কিছুই দিয়েছেন। সত্যি কথা বলতে আমাদের এইযে পূর্ণতা তার অনেকটাই আমাদের বড়ভাইদের অবদান, তাদের কথা কিছুতেই ভোলা যায় না। আমরা তাদের কাছে অনেক ঋণী। এই এতগুলি বছর পরেও আমরাও যেমন তাদের শ্রদ্ধা সম্মান করি তারাও ঠিক তার চেয়ে কিছু বেশিই স্নেহ করেন। আহসান স্যার পাশে রোটর্ক কোম্পানিতে কর্মরত কেতাদুরস্ত পোশাক পরনে মোজাম্মেল ভাইকে দেখিয়ে বলতেন দেখ, ঐযে মোজাম্মেল ওকে এই সি বাস কোম্পানি ইংল্যান্ড থেকে ট্রেনিং করিয়ে এনে আঠার হাজার টাকা বেতন দিচ্ছে। তোমরাও তেমন না হলেও কাছাকাছি যেতে পারবে। তখনকার আঠার হাজার টাকা শুনে আমরা অবাক হয়ে চেয়ে দেখতাম মোজাম্মেল ভাইকে। পরবর্তীতে মোজাম্মেল ভাইর সাথেও আমি দুইটা ভয়েজ করেছি এবং তখন তাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি। একেবারে নিরহংকার অমায়িক এবং অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। জুনিয়ারদেরকে কি করে আপন করে বুকে টেনে নিতে সে তিনি ভাল করেই জানেন।

যাক সেসব কথা। যা বলছিলাম, পরদিন থেকেই শুরু হলো ক্লাস। স্কটিশ অলস্টার ক্যাম্পবেল, নেভিগেশন বিশেষজ্ঞ সউদি আরবের সাবেক সিএনসি ইংরেজ কমান্ডার মার্টিন এবং সিম্যান শিপ বিশেষজ্ঞ ডাচ হ্যাগওয়েল, আব্দুল লতিফ স্যার, জামান স্যার, চিরকুমার আহসান স্যার, মালেক স্যার, ইসমাইল স্যার এবং ইংলিশ পড়াতেন মোশতাক স্যার। কখনো সেই বিখ্যাত কড়ই গাছের ছায়ায়, কখনো মুল ভবনের বারান্দায় আবার কখনো ক্লাস রুমে নানা বিষয়ে পড়াশুনা। জীবনটা বেশ চলছিল। আনন্দ, হৈ চৈ, বেদনা কান্না সব কিছু মিলিয়ে জীবনের একটা বিশেষ সময় কেটে গেল। প্রায় ছয় মাস পরে আমাদের সিনিয়র B ব্যাচ এর ক্যাডেট ভাইয়েরা বিদায় নিয়ে চলে গেলেন তাদের নতুন কর্মস্থলে। তাদের জায়গায়  D ব্যাচ এর ক্যাডেটরা এলো। তখন আমরা সিনিয়র হয়েছি। আমাদের বড়দের কাছে যেমন শিখেছি তেমনি করে আমরা ছোটদের দেয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমরা যা পেয়েছি ঠিক তেমন করে দিতে পারিনি।

শিক্ষা, ব্যক্তিত্ব, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, রুচি বোধ, নিয়মানুবর্তিতা,  শৃংখলাসহ নানা কিছু শেখার একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এই DEPTC বিশেষ করে প্রিন্সিপাল আনিস স্যার ক্লিনিং ডেতে যেদিন রাউন্ডে এসে বিছানার নিচে হাত দিয়ে ময়লা বের করে এনে দেখাতেন Look my boy, is it cleaning? Next time I will not like to see these again.  বলতে গেলে আমাদের মাঝে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটেছে আনিস স্যারের চলাফেরা, পোশাক আসাক এবং তার কথা বলার ভঙ্গি দেখে। তিনি বলতেন you are going to be a king of a small kingdom so, your movement and your attitude should be like that. You should be a perfect gentleman. I desire from you and this is my dream. এখান থেকেই একটু একটু করে আমাদের মন মানসিকতার বিকাশ ঘটতে শুরু হয়েছিল কিছুটা আমাদের অজান্তেই। আগেই বলেছি আমাদের সিনিয়র ভাইদের অবদানও কিছু কম নেই। একদিন খুবই সাধারণ ভাবে সামান্য ঘটা করে আমাদের বিদায়ের ঘণ্টা বাজান হলো। আমরা আমাদের কর্মস্থলে জয়েন করলাম। শুরু হলো আমাদের জীবনের নতুন আর এক অধ্যায়। এটাকে সংগ্রামের অধ্যায়ও বলা যায়। নানান প্রতিকুল পরিবেশের মধ্যে আমাদের টিকে থাকার যুদ্ধ করে এ পর্যন্ত আসতে হয়েছে এবং সব চেয়ে আনন্দের বিষয় হলো আমরা এতে সফল হয়েছি।

সুদূর জাপান থেকে কানাডার ভ্যানকুভের পর্যন্ত সারা বিশ্বে আমাদের আনিস স্যারের প্রিয় ক্যাডেট নানা জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করছে এটা DEPTC এর একটা বিরাট সাফল্য। জাহাজের ক্যাপ্টেন সহ দাপ্তরিক কাজে নটিক্যাল সার্ভেয়ার, মার্কে্ন্টাইল ম্যারিন ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপ্যাল অফিসার (ক্যাপ্টেন হাবিব-A), পরিচালক Con. & P, BIWTA (জনাব এমদাদ-D), প্রধান পলিউশন কর্মকর্তা Jeddah Muslim Port (আব্দুল মোমেন-D),সাবেক সহকারী হারবার মাস্টার (অপারেশন) (আমি স্বয়ং-C) ইত্যাদি নানা বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত আছে আমাদের আনিস স্যারের স্বপ্নের ক্যাডেটরা। এমন আরও অনেকেই এর মধ্যে  অবসরে চলে গেছেন।

আমার মনে আছে একবার তিনি ট্রেনিং জাহাজ নিয়ে জুনিয়র ক্যাডেট সহ মংলা গিয়েছিলেন এবং সেখানে যেয়ে মংলায় জাহাজ ভিড়িয়ে আমাকে খবর দিয়েছিলেন দেখা করার জন্য। আমি যখন গেলাম তখন তিনি জাহাজের লাউঞ্জে বসে জনৈক বিদেশি ভদ্রলোকের সাথে কথা বলছিলেন (১৯৮৫ সালের কথা, তার পরিচয়টা আমার সঠিক মনে নেই) আমাকে দেখ ভীষণ উৎফুল্ল হয়ে পরিচয় করিয়ে দিলেন সে আমার ক্যাডেট এবং এখন এই বন্দরের ম্যারিন অফিসার। আজ যদি তিনি আমাদের মাঝে থাকতেন তাহলে তার মত সৃষ্টি সুখের উল্লাস আর কেইবা করতে পারত! তার ছেলেরা আজ দেশে বিদেশে কত গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে। এর চেয়ে আনন্দ আর কি হতে পারে! আমরাও আমাদের পিতৃতুল্য এই মহান এর কাছে শ্রদ্ধার সাথে নানা পরামর্শ নিতে পারতাম। তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সুদূরপ্রসারী। তিনি অনেক দূর ভবিষ্যতের ছায়া দেখেছিলেন বলে আজ আমরা এতদূর আসতে পেরেছি।

উপরোক্ত অবস্থার আলোকে আজ একথা বলা বা চাওয়া অমূলক হবে না যে এই DEPTC এর স্ট্যাটাস উন্নীত করা বিশেষ প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে। আমাদের লক্ষ করতে হবে যে এখান থেকে খালাসি বের হচ্ছে না, এখান থেকে রীতিমত উপযুক্ত মর্যাদাসম্পন্ন ম্যারিনার তৈরি হচ্ছে যারা দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনে সফলতার পরিচয় ইতোমধ্যে দিয়েছে এবং তারা সক্ষম। কাজেই আশা করি সরকার বিশেষ করে BIWTA এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দৃষ্টি দিবেন এবং অতিসত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এবং এতে BIWTA এর মান-মর্যাদা বাড়বে বই কোন অবস্থাতে কমবে না। নয়ত দেখতে দেখতে অনেক দেরি হয়ে যাবে যখন আর কিছু করার থাকবে না।

স্মরণ করছি আমাদের শিক্ষক এবং আমাদের ক্যাডেট ভাইয়েরা যারা আমাদের ছেড়ে অকালে চলে গেছেন। আমরা দোয়া করি আল্লাহতালা তাদের আত্মার শান্তি প্রদান করুন এবং সকলকে ক্ষমা করুন। DEPTC এর সুনাম বৃদ্ধি পাক এবং উন্নতি হোক। এখানকার সব ছেলেরা জীবনে অধিষ্ঠিত হোক এবং সারা বিশ্বে দেশ ও দশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাক এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
মোঃ খালিদ উমর- (C batch)
৩৩৫ পশ্চিম পীরের বাগ
মিরপুর, ঢাকা ১২১৬
01742 968831  

No comments:

Post a Comment

Your Comments

Recent Comments
Back to Top